কলকাতা 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন কাউন্সিল গঠিত না হওয়ায় সংকটে আলিয়া!

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : গত আগস্ট মাসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখনো পর্যন্ত নতুন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি গঠিত না হওয়ায় সংকটের মুখে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলে জানা গেছে। যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি। বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ইসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কাজ ইসির অনুমোদনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও ফিনান্স সেকশন যা কিছু সিদ্ধান্ত নেয় তার মানত্যা দেয় EC।

সূত্রের খবর বিগত আগস্ট মাস থেকে ইসি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।থমকে রয়েছে ফিনান্স সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্তের মান্যতা। নিতে পারছেনা NAAC এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ভিজিটের আবেদনের ছাড়পত্র। বেশকিছু বিভাগের শিক্ষক অভাবে পঠন -পাঠনে অচলবস্থা তৈরি হলেও পারছেনা শিক্ষক নিয়োগ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি এই কয়েক মাসে মোট তিনবার ইসির জন্য আবেদন করলেও কোনো উত্তর মেলেনি MA &ME দপ্তর থেকে।

Advertisement

অথচ ২০১৭ সালে ইসি গঠনের আবেদন মান্যতা পেয়েছিলো মাত্র তিন মাসের মধ্যে। আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্ন তাহলে এবারের ইসির অনুমোদন দিতে দপ্তরের এতো বিলম্ব ও উদাসীন কেন? আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের দাবি বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলেই নাকি দপ্তর ইসির অনুমোদন  করবেন। এই ভিসির মেয়াদ এপ্রিলের 12 তারিখ পর্যন্ত। ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ তাহলে কি EC পেতে সমস্যা ভিসি?

২০০৭ সালের ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলে থাকবেন, উপাচার্য, রেজিস্টার, ডিন, একজন প্রফেসর, একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও একজন অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। তিনজন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যা রাজ্যপাল নমিনি। একজন MLA একজন সেক্রেটারি, ও একজন ডেপুটি ডিরেক্টর যার নমিনি MA &ME দপ্তর। রাজ্য সরকারের ফিনান্স দপ্তরের Ex Officio মেম্বার হিসাবে থাকবেন ফিনান্স দপ্তরের সেক্রেটারি, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রেসিডেন্ট, মাদ্রাসাশিক্ষা বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ও ডিরেক্টর।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ